মায়া এবং এডভান্স প্লান - Study

Study

Header ADS

মায়া এবং এডভান্স প্লান




প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু না কিছু স্বপ্ন থাকে। প্রতিটি মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্বপ্ন দেখে থাকে। কারো স্বপ্নের সাথে কোন স্বপ্ন এর মিল থাকে না। তেমন প্রতিটি মানুষের চাওয়া পাওয়া ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক।  যদি সবাই এক দিকে গিয়ে সাফল্য পেতে তাহলে পৃথিবী এতো সুন্দর  হতো না। যে ভিন্ন পথে যাবে সেই সাফল্য পাবে এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে।

যাইহোক মূল কথায় আসি, 

প্রতিটি পুরুষের সাফল্যের পেছনে একটি নারীর অবদান অনেক বেশি। আবার এই নারীর কারনে পুরুষের জীবন শেষ হয়ে যায়। স্বপ্নও সবাই দেখতে চাই, তাহলে আমি কেন চাইবো না, আমি স্বপ্ন দেখতে চাই। তবে আমার স্বপ্ন "" মায়া এবং এডভান্স পরিকল্পনা"" নিয়ে। আমার স্বপ্নে রাজ্যে মায়া নামে একটি মেয়ে বসবাস করতো। মায়াকে নিয়ে আমার স্বপ্ন রাজ্য ছিলো স্বপ্নময়।

নিজে খারাপ হলেও কিন্তু তার স্বপ্নের মতো রাজকন্যা লাগবে। আর মায়া ছিলো  মায়াবতী রাজকন্যা, আমার স্বপ্ন রাজ্যের রানী। তার রূপ-লাবণ্যে আকৃষ্ট করবে যে কোন মানুষের। মায়ার উচ্চতা ছিলো ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, গায়ের রং ছিলো কাচা হলুদের মতো, কেশ ছিলো কাকের নেয় কালো ও লম্বা,  মুখ ছিলো হাল্কা লম্বা, চোখ দুটি ছিলো হরিণের চোখের মতো, হাত ও পায়ের আংগুল ছিলো একটু লম্বা, হাতে ও পায়ে অনেক লুম ছিলো। সে ছিলো কমল হৃদয়ের অধিকারী কিন্তু অনেক সাহসী ও তেজী।

মায়াকে নিয়ে আমার স্বপ্ন রাজ্য ছিলো অনেক সুন্দর ও আবেগ ময়। আমি জীবনে মায়ার মতো একটি লাইফ পাটনার চাইতাম। এভাবেই আমার দিন চলতে থাকে, স্কুল থেকে কলেজ, কলেজ থেকে ইউনিভার্সিটি,  ইউনিভার্সিটি শেষ করে এখন মেডিক্যাল কলেজ জব করি। এর মাঝে কত জনের সাথে পরিচয় হলো কিন্তু আমার কল্পনার রাজ্যের নারীর দেখা পাচ্ছি না........

আমার বাসা ঢাকা নবাবগঞ্জ হলে কি হবে, কিন্তু আমি কলেজ জীবন থেকেই মহাখালী একটি বাসায় ভাড়া থাকি। তিনদিন যদি ভাড়া বাসায় থাকি, আবার দুদিন মা বাবার সাথে থাকি বা মাঝে মাঝে মায়ের রান্না করা খাবার খেতে বাসায় চলে যাই। এভাবে যাচ্ছি দিন খুব ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বাড়িওয়ালা ভাড়ার জন্য এতো প্যারা দেয় কিছু ভালো লাগে না। আমাদের সামান্য টাকার জন্য নাকি তারা বাজার করতে পারে না। কিন্তু এর পরে এই বাসায় ১০ বাছর যাবৎ আছি।

আন্টি (বাড়িওয়ালা)  এক ছেলে এক মেয়ে আছে৷ ছেলের নাম "রিফাদ" যে আমার সাথে ""বি এ এফ শাহীন কলেজ" এ পড়াশোনা করতো এবং মেয়ের নাম ছিলো "মায়া" যে ৯ ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো। রিফাদ ও আমি এক সাথে পড়াশোনা করার জন্য তাদের বাসায় যাও আসা ছিলো অনেক বেশি। রিফাদ কলেজ শেষ করে বিদেশ পড়াশোনা করার জন্য চলে যায়। 

আমার কোন ভাই বোন নেই বলে, মায়াকে আমি বোনের মতো দেখি, আর মায়া আমাকে ভাইয়া বলে ডাকে, মায়াকে আমি প্রাইভেট পরাই এই বাসায় উঠার পর থেকেই।  এভাবে মায়া পরিবারের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়৷ মায়ার কোন কিছু লাগলে আমাকে বলবো আমি এনে দিতাম, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিল সাব আমি দিয়ে দিতাম। একবার মায়ার ঘড়ি নষ্ট হয়ে যায় এটাও আমি ঠিক করে দেই। 

মায়া আমার জন্য হালিম, ইফতারি,  আমার পছন্দের খিচুরী, আরো অনেক কিছু রান্না করে নিয়ে আসে। তবে মায়া ভালো মাংস রান্না করতে পারে,  যেদিন মাংস রান্না করবে সেইদিন আমার জন্য খিচুড়ি রান্না করে আমার বাসায় নিয়ে আসবে। আন্টিও আমাকে তার ছেলের মতো দেখে কিন্তু বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় সব ভুলে যায়। এর মাঝে আমার চাকরি হয়৷ আমিও অফিসে সুন্দর করে ভাবে কাজ করতে থাকি। মায়া আমাকে চাকরি করতে বারুন করে কারন মায়াকে প্রাইভেট পড়াতে পারবো না বলে৷ এদিকে মায়া আমাকে ছাড়া কারো কাছে প্রাইভেট পরবে না। আমি চাকরি ছেড়ে মায়াকে প্রাইভেট পড়াতে শুরু করলাম৷ এভাবে দিন ভালো যাচ্চে।

আমি পড়াশোনা শেষ করে মেডিক্যাল কলেজে জব নিলাম। আমার অফিস ভালোই যাচ্ছে।  অফিসের সবাই আন্তরিক ছিলো, আর বিশেষ করে আমার কলিগরা অনেক ভালো ছিলো। কিন্তু কিছু দিন পরে আমার অফিসে মায়া আমার বস হিসাবে মায়া জয়েন করে বিশেষ কোন স্যারের মাধ্যমে।  কেমন লাগে জাকে আমি প্রাইভেট পরিয়েছি  সেই নাকি আমার বস, যাকে আমি বাসায় তুই করে বলি তাকে নাকি আমার বস বলতে হবে।


আন্টি ও আঙ্কেল চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে চলে যাবে তার ছেলের কাছে কিন্তু মায়া যাবে না।  অন্টি মাঝে মাঝে মায়ার খুজ নিতে বলছে। একদিন মায়কে বাসায় গিয়ে দেখি ঘুমিয়ে আছে। মায়াকে এই প্রথম এতো সুন্দর আর লাবন্যময়ী লাগছে, আমি তাকে দেখে....................





Theme images by epicurean. Powered by Blogger.